ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশমূলক নীতি
ভারতের সংবিধানের চতুর্থ অধ্যায়ে ৩৬-৫১ নম্বর ধারায় নির্দেশমূলক নীতিসমূহ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। নির্দেশমূলক নীতির ধারণাটি আয়ারল্যান্ডের সংবিধানের ৪৫ নম্বর ধারা থেকে গৃহীত হয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদে নির্দেশমূলক নীতির প্রয়োগ সম্পর্কে বলা হয়েছে। ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে জনকল্যাণমূলক, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা হয়েছে। এখানে ভারতে রাজনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে, অর্থাৎ সাম্য প্রতিষ্ঠিত না হলে, প্রকৃত জনকল্যাণমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সংবিধানে মৌলিক অধিকারের অধ্যায়ে এমন কোনো অধিকার লিপিবদ্ধ হয়নি, যা অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে পারে। বরং সম্পত্তির অধিকারকে স্বীকার করে সমাজে অর্থনৈতিক অসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সংবিধানের প্রণেতৃবর্গ অবস্থার চাপে পড়ে সম্পত্তির অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, যার ফলে অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হয়। তাই অর্থনৈতিক সাম্য কার্যকর করার উদ্দেশ্যে সংবিধানের নির্দেশমূলক নীতিগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য বর্ণনা করা হয়েছে। ...